সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রশিক্ষণ ভাতার দাবীতে স্মারকলিপি দিয়েছে ফেনী পিটিআইয়ের শিক্ষার্থীরা। সারাদেশের সকল পিটিআইতে (প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯জুন) ফেনী পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট জনাব স্বপন কুমার দে- এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ডিপিএড ভর্তির পর করোনা অতিমারীর কারণে ডিপিএড-এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হলেও শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই ডিপিএড অনলাইন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করার জন্যে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের স্মার্টফোন কেনা সহ ওয়াইফাই লাইনের সংযোগ স্থাপন, প্রতি মাসের সংযোগ বিলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকলে মোবাইল ডাটা বিলের জন্য অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্ট ও সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতির জন্যও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ ডিভাইস ব্যবহারের জন্য বাড়তি যোগ হয়েছে চিকিৎসা খরচ।
অতপর, ভাতা প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের মানসিক ও আর্থিক চাপ লাঘবে কর্তৃপক্ষের সদয় সহযোগিতা কামনা করা হয়।
মূলত, ডিপিএড প্রশিক্ষণ কোর্সটিতে অংশগ্রহণ করায় প্রশিক্ষণ বাবদ প্রশিক্ষণার্থীদের জন প্রতি মাস হিসেবে তিন হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়। যে টাকা থেকে অধিকাংশ টাকা পিটিআইতে বিভিন্ন কাজেই ব্যয় হয়ে যায়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের 'অনলাইন প্রশিক্ষণ নির্দেশনা' স্মারকে ‘প্রশিক্ষণ ভাতা’ অংশে উল্লেখ আছে, ‘কোর্স কনটেন্ট, কোর্সের মেয়াদ, ক্লাস সেশনের সময় প্রচলিত পদ্ধতির ন্যায় অপরবির্তিত থাকলে প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ভাতা অপরিবর্তিত থাকবে। এক্ষেত্রে মোবাইল ডেটা, কম্পিউটার, প্রিন্টিং এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক ব্যয় প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে নির্বাহ করতে হবে।
অন্যান্য ভাতা অপরিবর্তিত থাকবে।
' সেখানে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিপিএড শিক্ষার্থীরা কেন তাদের প্রাপ্য পাবেন না তা আজও অজানা। অপরদিকে, বিভিন্ন পত্রিকা মাধ্যমে জানা যায়, বিভাগীয় হিসাব রক্ষণ অফিস জানায়, করোনাকালীন প্রশিক্ষণ ভাতা না দিতে তাদের প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা রয়েছে। যদিও এ সংক্রান্ত কোন লিখিত নির্দেশনা দেখা যায়নি।
ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণভাতা নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষকদের মাঝে যে হতাশা, অনাগ্রহ বিরাজ করবে তাতে শিক্ষার উপর নিশ্চিত নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সাথে ডিপিএড প্রশিক্ষণ ভাতা তারা পাবে কি পাবে না সে বিষয়ে পরিষ্কার বক্তব্য আশা করছেন। যদি না পায় তাহলে তার কারণও জানতে আগ্রহী তারা। মুখে মুখে পাবে বলে শুনে আসলেও প্রশিক্ষণার্থীরা মূলত সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করছে।
সম্পাদনা:ডিএইচ
প্রকাশঃ মঙ্গলবার, ২৯ Jun ২০২১, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন